স্থান
জাফলং- সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার জফলং নামক স্থানে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এর অবস্থান। বিছানাকান্দি-গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নে এর অবস্থান। রাতারগুল সোয়াম ফরেস্ট -গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নে।
কিভাবে যাওয়া যায়
পর্যটন কেন্দ্র জাফলংঃ সিলেট হতে সিলেট তামাবিল মহাসড়কে ৫৬ কি.মি., গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর হতে সারিঘাট হয়ে ৩২ কি.মি. এবং রাধানগর হয়ে ১২ কি.মি.।যোগাযোগের মাধ্যম- বাস, মাইক্রোবাস, জীপ, সিএনজি ও ট্যাক্সি। পর্যটন কেন্দ্র বিছানাকান্দিঃ সিলেট হতে সালুটিকর হয়ে সড়কপথে হাদারপার বাজার পর্যন্ত ৪৬ কি.মি.। গোয়াইনঘাট-সারিঘাট হয়ে হাদারপার বাজার পর্যন্ত ৭৩ কি.মি.। গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর হতে হাদারপার বাজার পর্যন্ত ১৭ কি.মি.।হাদারপার বাজার হতে বিছনাকান্দি ০৪ কি.মি। যোগাযোগের মাধ্যম- হাদারপার বাজার পর্যন্ত বাস, মাইক্রোবাস, জীপ, সিএনজি ও ট্যাক্সি। হাদারপার বাজার হতে নৌকা। পর্যটন স্পট রাতারগুল সোয়াম ফরেস্টঃ সিলেট হতে সড়কপথে ৩৫ কি.মি., গোয়াইনঘাট উপজেলা সদর হতে ৩০ কি.মি.।যোগাযোগের মাধ্যম- বাস, মাইক্রোবাস, জীপ, সিএনজি ও ট্যাক্সি।
পর্যটন কেন্দ্র জাফলং
প্রকৃতির এক অপূর্ব দান, প্রাকৃ্তিক সৌ্নদর্যের অপার লীলাভূমি জাফলং। পাথরের উপর গতিময় স্বচ্ছ পানির রুপালী আভা, নিস্তব্ধ নিঝুম সবুজে আবৃত পাহাড়ে ঘেরা এক স্ব্প্নিল জগৎ এই জাফলং।দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র চুনাপাথরের খনি, সমতল ভূমির চা-বাগান, বিখ্যাত খাসিয়া পান-সুপারির বাগান, খাসিয়া পল্লীর এবং খসিয়াদের কৃ্ষ্টি-কালচার জাফলং পর্যটন কেন্দ্রকে করেছে সমৃদ্ধ।শুস্ক ও শীত মৌসুমে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭০০-৯০০ জন দেশি-বিদেশি পর্যটক জাফলং এর অপার সৌন্দর্য উপভোগ করে।
পর্যটন কেন্দ্র বিছনাকান্দি
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে মেঘালয়ের কো ঘেঁষে প্রকৃ্তি যেন মনের মাধূরী মিশিয়ে নিজ হাতে তৈরী করেছে পর্যটন স্পট বিছনাকান্দিকে। মেঘালয় থেকে নেমে আশা চকচকে শীতল পানি এবং পরপর অবস্থিত সাতটি সবুজ পাহাড়ের হাতছানি অজান্তেই মনে দোলা দিয়ে যায়। পাহাড়ের বুক চিরে মেমে আশা মন মনমুগ্ধকর ঝরণা, পাথরের বিছানার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া স্রোত মনকে টেনে নেয় প্রকৃ্তির গহীনে। শুস্ক ও শীত মৌসুমে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪০০-৫০০ জন দেশি-বিদেশি পর্যটক বিছনাকান্দির সৌন্দর্য অবলোকন করে তাঁদের মনকে তৃপ্ত করে।
পর্যটন স্পট রাতারগুল সোয়াম ফরেস্ট
প্রকৃতির ব্যতিক্রমী সৃষ্টি রাতারগুল সোয়াম ফরেস্ট একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট। পানিতে অর্ধ নিমজ্জিত হিজল, করচ, বরুনা, বেত আর মুর্তার ঘন ঝোপে প্রায় দূর্ভেদ্য উপমহাদেশের একমাত্র মিঠা পানির সোয়াম ফরেস্ট এই রাতারগুল। শীতল বাতাস, পাখির কলতান, নয়নাভিরাম দৃশ্য আর নৌকাযোগে নিঃশব্দে ঘুরে বেড়ানো- এ যেন এক স্বর্গ রাজ্য।প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৫০-২০০ জন দেশি-বিদেশি পর্যটক রাতারগুল সোয়াম ফরেস্টের সৌন্দর্য অবলোকন করে তাঁদের মনকে তৃপ্ত করে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস